১২৫। হাদীসের নামে জালিয়াতি || hadiser name jaliyati - Sm Sahol Mahmud Library
SUBTOTAL :

Follow Us

all books islamic book off@-59% price_৳540
১২৫। হাদীসের নামে জালিয়াতি || hadiser name jaliyati

১২৫। হাদীসের নামে জালিয়াতি || hadiser name jaliyati

all books islamic book off@-59% price_৳540
Short Description:

Product Description


হাদীসের নামে জালিয়াতি প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা।
লেখক : ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর।
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স।
প্রকাশকাল : জুন ২০২২ ইং।
মূল্য : ৫৪০৳,
কভার : A5, হার্ডকভার,
পরিমাণ : ১ কপি,
দাম : ২২০৳,
পৃষ্ঠা : ৬৭২,
ভাষা : বাংলা,
ISBN : 978-984-90053-3-9,


বিবরণ :-

১ম পর্ব : হাদীস ও হাদীসের নামে জালিয়াতি ৩৫-২৫৮

২য় পর্ব : প্রচলিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা ২৬১-৬৪৮


হাদীসের নামে জালিয়াতি : প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা :-
বইয়ের কলেবর বৃদ্ধির একটি কারণ হলো, প্রায় সকল বিষয়ে বানোয়াট হাদীসগুলো আলোচনার সময় সে বিষয়ে বর্ণিত সহীহ হাদীসগুলোর বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতে হয়েছে। দুটি কারণে তা করতে হয়েছে: প্রথমত: অনেক সময় জালিয়াতগণ জাল হাদীস তৈরি করার সময় সহীহ হাদীসের কিছু শব্দ ও বাক্য তার সাথে জুড়ে দেয়। এছাড়া অনুবাদের কারণে অনেক সময় জাল ও সহীহ হাদীসের অর্থ কাছাকাছি মনে হয়। এজন্য শুধু জাল হাদীসটি উল্লেখ করলে সাধারণ পাঠকের মনে হতে পারে যে, এ বিষয়ে সকল হাদীসই বুঝি জাল। অথবা, এ অর্থের একটি হাদীস অমুক গ্রন্থে রয়েছে, কাজেই তা জাল হয় কিভাবে।
দ্বিতীয়ত: শুধু জাল হাদীস চিহ্নিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বাসে ও কর্মে জাল হাদীস বর্জন করে সহীহ হাদীসের উপর আমল করে নিজেদের নাজাতের জন্য চেষ্টা করা। এজন্য জাল হাদীস উল্লেখের সময় সে বিষয়ক সহীহ হাদীসগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে হলেও কিছু বলেছি।


সম্মানিত পাঠককে একটি বিষয়ে সাবধান করতে চাই। আমরা জানি যে, নিজে কর্ম করার চেয়ে অন্যের সমালোচনা করা অনেক বেশি সহজ ও মানবীয় প্রবৃত্তির কাছে আনন্দদায়ক। এজন্য অনেক সময় আমরা একটি নতুন বিষয় জানতে পারলে সে নতুন জ্ঞানকে অন্যের দোষ ধরার জন্য ব্যবহার করি। এটা ঠিক নয়।


এ বই থেকে আমরা অনেক জাল হাদীসের কথা জানতে পারব। এ জ্ঞান আমাদেরকে সহজেই শয়তানের খপ্পরে ফেলে দিতে পারে। আমরা চায়ের দোকানে, মসজিদে, ওয়াযে, আলোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলকে সমালোচনা করে বলতে পারব যে, তারা অমুক জাল হাদীসটি বলেন বা পালন করেন। এ কর্মের দ্বারা আমরা সাওয়াবের পরিবর্তে গোনাহ অর্জন করব। এ বইটি লেখার উদ্দেশ্য তা নয়। এ বইটি লেখার উদ্দেশ্য হলো আমরা অনির্ভরযোগ্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ‘হাদীসে’র পরিবর্তে সহীহ হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করে নিজেদের কর্ম ও বিশ্বাসকে আরো উন্নত করব। যে সকল সহীহ হাদীস আমরা জানতে পারব সেগুলো ব্যক্তিগতভাবে পালন করব এবং অন্যদেরকে পালন করতে উৎসাহ দেব। যে সকল জাল হাদীসের বিষয়ে জানতে পারব সেগুলো কখনোই আর হাদীস হিসেবে বলব না বা পালন করব না। কেউ তা করলে সম্ভব হলে ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের সাথে সংশোধনের চেষ্টা করব। সর্বাবস্থায় মহিমাময় করুণাময় আল্লাহর কাছে তার ও আমাদের নিজেদের ক্ষমা ও কবুলিয়তের জন্য দোয়া করব।


“হাদীসের নামে জালিয়াতি : প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা” বইটির প্রথম অংশের কিছু কথা :-
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানব জাতিকে অত্যন্ত ভালবাসেন। মানুষকে তিনি সৃষ্টি সেরা হিসাবে তৈরি করেছেন। তাকে দান করেছেন জ্ঞান, বিবেক ও যুক্তি যা তাকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। মানুষের এ জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। মানুষ তার জ্ঞান, বিবেক ও বিবেচনা দিয়ে তার পার্থিব জগতের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারে এবং নিজেকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে, কিন্তু তার ইন্দ্রিয়ের বাইরের কিছু সে জানতে পারে না। এজন্য ইন্দ্রিয়ের অতীত কোন বিষয়ে মানুষ জ্ঞান, বিবেক বা যুক্তি দিয়ে সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে অনুরূপভাবে সক্ষম হয় না । আমরা ইতহাসের দিকে তাকালেই তা বুঝতে পারি।


জাগতিক বিষয়গুলো মানুষ অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে জানতে পারে। কিভাবে চাষ করলে বেশি ফল ফসল হবে, কিভাবে বড়ি বানালে বেশি টেকসই হবে, কিভাবে গাড়ি বানালে দ্রুত চলবে, কিভাবে রান্না করলে খাদ্যমানের বেশি সাশ্রয় হবে, কিভাবে ব্যবসা করলে লাভ বেশি হবে বা পুঁজির নিরাপত্তা বাড়বে, কিভাবে চিকিৎসা করলে আরোগ্যের সম্ভাবনা, নিশ্চয়তা বা হার বাড়বে ইত্যাদি বিষয় মানবীয় অভিজ্ঞত, গবেষণা, যুক্তি ও চিন্তার মাধ্যমে জানা যায়।


কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আচার আচরণ বিষয়ক জ্ঞান কখনো অভিজ্ঞতা বা ঐন্দ্রিক জ্ঞানের মাধ্যমে জানা যায় না। আল্লাহর সম্পর্কে বিশ্বাস কিরূপ হতে হবে, কিভাবে নবী-রাসূলগণের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, পরকালের সঠিক বিশ্বাস কী, কিভাবে আল্লাহাকে ডাকতে হবে, কোন কর্ম করলে তাঁর রহমত ও বরকত বেশি পাওয়া যাবে, কিভাবে চললে আখেরাতে মুক্তির সম্ভাবনা বাড়বে, কোন পদ্ধতিতে চললে দ্রুত আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন করা যাবে, কোন কাজ করলে বেশি সাওয়াব অর্জন করা যাবে, কোন কর্মে পাপের।


0 Reviews:

Post Your Review